স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীন পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য বিধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: তবিবুর রহমান তালুকদার আইনের তোয়াক্কা না করেই RWSHP -SD -০৩ এর ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট ওপেনিং এর জন্যে নির্ধারিত তারিখে SD-৩ প্যাকেজ উন্মুক্ত করেন নিজের মত করে। তার কাছে থেকে কাজ পেতে হলে ঠিকাদারদের দিতে হয় মোটা অংকের অর্থ। এছাড়াও রয়েছে তদবির বাণিজ্য।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে প্যাকেজ নম্বর : RWSHP -SD -০৩ এর ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট ওপেনিং এর জন্যে নির্ধারিত তারিখ ছিল। আমাদের গোপন অনুসন্ধানে দেখা যায় সমাহার ও সুশীলন নামক দুইটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকের কাছ থেকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তাদের দুই প্রতিষ্ঠান কে দুইটি প্যাকেজ SD -২ এবং SD -৩ কাজ দেওয়ার বন্দোবস্ত ও করেছিলেন পরবর্তীতে বিষয় টি মন্ত্রণালয়ের গোচরীভূত হলে SD -২ প্যাকেজ টি সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করে চূড়ান্ত করেন। SD -৩ প্যাকেজ টি সুশীলন কে দেওয়ার জন্যে মূল্যায়ন চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন, বিষয়টি লিক হয়েছে যা তিনি সেদিন ২৬ এপ্রিল রাতে জানতে পারেন ফলে ২৭ এপ্রিল সকালে ১১ তাই দরপত্র উন্মুক্ত করার সময় থাকলেও আইনসঙ্গত কোন কারণ ছাড়া (আসল কারণ ফলাফল পরিবর্তন করা ) বিকেল তিনটায় উন্মুক্ত করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি DORP -Water Aid সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের টেকনিকাল প্রপোসাল এর মার্ক্স্ বাড়িয়ে দেন সাথে তাদের আর্থিক প্রপোসাল-এর অর্থের ভ্যালু কমিয়ে দেন ফলে কাজটির জন্যে তার স্কোর সর্বোচ্চ হয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রুরাল ওয়াটার, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টে টেকনিক্যাল এসিটেন্ট ফার্ম/এনজিও নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব দুর্নীতির ও ফার্ম/এনজিও নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সমাহার এনজিও এর নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগও দাখিল করেছেন কয়েকবার।
একটি মহল বলছে, তবিবুর রহমান তার নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়। এছাড়াও লোকমুখে শোনা গেছে তার একাধিক বিয়ের খবরও। শুধু এখানেই শেষ নয়, তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে ফ্লাট রয়েছে, সিরাজগঞ্জ সদরে ৬ তলা বাড়িসহ আরও অনেক স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তবিবুর রহমান বলেন, আমার নামে যে অভিযোগগুলো এসেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে ছোট করার জন্য এই ধরনের খবর রটানো হচ্ছে। যারা কাজ পায়নি তারাই এই বিষয়গুলো এখন ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া নিয়োগ সংক্রান্ত যে সকল অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে এগুলো মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত করা হয়েছে। সেখানে এর কোনো সত্যতা মেলেনি। আমি কোন ধরনের অন্যায় কাজের সাথে জড়িত না।
এ বিষয়ে জানতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: সরোয়ার হোসেনকে ব্যবহৃত সরকারি নাম্বারে একাধিক বার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খাইরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, দেরিতে দরপত্র উন্মুক্ত করাটা দোষের কিছু না। যদি সকল প্রতিনিধি হাজির না থাকেন সে ক্ষেত্রে দেরিতে দরপত্র উন্মুক্ত করা যায়। তার বিরুদ্ধে যদি আমাদের কাছে লিখিত কোন অভিযোগ আসে, তাহলে আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো। বিগত সময় অনেকের এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে আমরা তার সঠিক সমাধান করেছি। এবারও যদি লিখিত কোন অভিযোগ আসে আমরা তা বিবেচনা করবো।