বিশ্বের আলু প্রধান দেশগুলো

,
বিশ্বের আলু প্রধান দেশগুলো
বিশ্বের আলু প্রধান দেশগুলো

বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্যগুলির মধ্যে আলু প্রথম স্থানে। এটি বিশ্বের প্রায় সকল দেশে পাওয়া যায়। ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে আলু প্রধান খাদ্য হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে। সারা পৃথিবীর আলু ফসলের প্রায় ৯০% জন্মে ইউরোপে। আলু সম্ভবত আমেরিকার স্থানীয় ফসল। প্রি-কলম্বিয়ান সময়ে আমেরিকার আদি অধিবাসীদের মধ্যে এর চাষাবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

তাদের জন্য এটি ছিল প্রধান খাদ্য। এর ইতিহাস জানা কঠিন, কারণ প্রথম দিকের লেখকগণ মিষ্টি আলু (Ipomoea batatas) ও অন্যান্য সম্পর্কবিহীন উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ‘আলু’ নাম ব্যবহার করেছেন। স্পেনীয় অনুসন্ধানকারীরা ষোল শতকে পেরু থেকে এটি নিয়ে আসে স্পেনে যেখান থেকে তা উত্তর ও পূর্বে সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকরা সম্ভবত ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এটিকে উত্তর আমেরিকায় নিয়ে আসে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চাষ করা আলুগুলির ৯৯% এরও বেশি জাত দক্ষিণ-মধ্য চিলির নিম্নভূমিতে উদ্ভত হওয়া জাত থেকে এসেছে। এটি ইউরোপে, বিশেষ করে উত্তর এবং পূর্ব ইউরোপে একটি অপরিহার্য ফসল হিসাবে রয়ে গেছে। এছাড়াও নেদারল্যান্ডসের মানুষ প্রত্যেকটা খাবারে আলু ব্যবহার করে । বিশ্বে কয়েকশত জাতের আলু চাষ হয়। এগুলির পার্থক্য বাহ্যিকরূপ, কন্দের গঠন, আকার ও বর্ণ, পরিপক্কতার সময়, রান্না ও বাজারজাতকরণ গুণাবলী, ফলন এবং রোগ ও পোকা-মাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতায়। একটি এলাকার জন্য উপযোগী একটি জাত অন্য এলাকায় উপযোগী নাও হতে পারে।
ভারতীয় উপমহাদেশে কখন আলু চাষ শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না।

ধারণা করা হয় যে, সতেরো শতকের গোড়ার দিকে পর্তুগিজ নাবিকরা ভারতে প্রথম আলু নিয়ে আসে। ১৮৪৭ সালে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত The Gardening Monthly ম্যাগাজিনের একটি সংখ্যায় ভারতে আলু চাষ সম্পর্কে প্রথম রেকর্ড দেখা যায়। প্রথমদিকে আলুর চাষ হতো কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে, সেখান থেকে আলু চাষের প্রবর্তন হয় চেরাপুঞ্জিতে।

ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্নর থাকাকালীন সময়ে (১৭৭২-১৭৮৫), তাঁর উদ্যোগে আলুর চাষ বোম্বেসহ অনেক প্রদেশে বিস্তার লাভ করে। আলু একটি তৃণজাতীয়, বর্ষজীবী ফসল; সাধারণত দু থেকে তিনটি চোখবিশিষ্ট কন্দের রোপণ খন্ড দ্বারা বংশবিস্তার করা হয়। বীজ থেকে একই জাতের হুবহু বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ পাওয়া যায় না। কান্ড সোজা বা ভূশায়ী, লিকলিকে, কাক্ষিক-শাখাযুক্ত বা শাখাবিহীন। জাতের ওপর নির্ভর করে কান্ড গোলাকার বা কৌণিক, লোমযুক্ত বা মৃসণ, সবুজ বা ঈষৎ রক্তবর্ণযুক্ত।

ডেইলি এইনগরে ডট কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিশ্বের আলু প্রধান দেশগুলো

বিশ্বের আলু প্রধান দেশগুলো
বিশ্বের আলু প্রধান দেশগুলো

বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্যগুলির মধ্যে আলু প্রথম স্থানে। এটি বিশ্বের প্রায় সকল দেশে পাওয়া যায়। ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে আলু প্রধান খাদ্য হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে। সারা পৃথিবীর আলু ফসলের প্রায় ৯০% জন্মে ইউরোপে। আলু সম্ভবত আমেরিকার স্থানীয় ফসল। প্রি-কলম্বিয়ান সময়ে আমেরিকার আদি অধিবাসীদের মধ্যে এর চাষাবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

তাদের জন্য এটি ছিল প্রধান খাদ্য। এর ইতিহাস জানা কঠিন, কারণ প্রথম দিকের লেখকগণ মিষ্টি আলু (Ipomoea batatas) ও অন্যান্য সম্পর্কবিহীন উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ‘আলু’ নাম ব্যবহার করেছেন। স্পেনীয় অনুসন্ধানকারীরা ষোল শতকে পেরু থেকে এটি নিয়ে আসে স্পেনে যেখান থেকে তা উত্তর ও পূর্বে সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকরা সম্ভবত ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এটিকে উত্তর আমেরিকায় নিয়ে আসে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চাষ করা আলুগুলির ৯৯% এরও বেশি জাত দক্ষিণ-মধ্য চিলির নিম্নভূমিতে উদ্ভত হওয়া জাত থেকে এসেছে। এটি ইউরোপে, বিশেষ করে উত্তর এবং পূর্ব ইউরোপে একটি অপরিহার্য ফসল হিসাবে রয়ে গেছে। এছাড়াও নেদারল্যান্ডসের মানুষ প্রত্যেকটা খাবারে আলু ব্যবহার করে । বিশ্বে কয়েকশত জাতের আলু চাষ হয়। এগুলির পার্থক্য বাহ্যিকরূপ, কন্দের গঠন, আকার ও বর্ণ, পরিপক্কতার সময়, রান্না ও বাজারজাতকরণ গুণাবলী, ফলন এবং রোগ ও পোকা-মাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতায়। একটি এলাকার জন্য উপযোগী একটি জাত অন্য এলাকায় উপযোগী নাও হতে পারে।
ভারতীয় উপমহাদেশে কখন আলু চাষ শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না।

ধারণা করা হয় যে, সতেরো শতকের গোড়ার দিকে পর্তুগিজ নাবিকরা ভারতে প্রথম আলু নিয়ে আসে। ১৮৪৭ সালে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত The Gardening Monthly ম্যাগাজিনের একটি সংখ্যায় ভারতে আলু চাষ সম্পর্কে প্রথম রেকর্ড দেখা যায়। প্রথমদিকে আলুর চাষ হতো কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে, সেখান থেকে আলু চাষের প্রবর্তন হয় চেরাপুঞ্জিতে।

ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্নর থাকাকালীন সময়ে (১৭৭২-১৭৮৫), তাঁর উদ্যোগে আলুর চাষ বোম্বেসহ অনেক প্রদেশে বিস্তার লাভ করে। আলু একটি তৃণজাতীয়, বর্ষজীবী ফসল; সাধারণত দু থেকে তিনটি চোখবিশিষ্ট কন্দের রোপণ খন্ড দ্বারা বংশবিস্তার করা হয়। বীজ থেকে একই জাতের হুবহু বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ পাওয়া যায় না। কান্ড সোজা বা ভূশায়ী, লিকলিকে, কাক্ষিক-শাখাযুক্ত বা শাখাবিহীন। জাতের ওপর নির্ভর করে কান্ড গোলাকার বা কৌণিক, লোমযুক্ত বা মৃসণ, সবুজ বা ঈষৎ রক্তবর্ণযুক্ত।

ডেইলি এইনগরে ডট কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download