সংরক্ষিত আসন বলতে নিদিষ্ট জাতির জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসনকে বুঝায়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৫০টা সংরক্ষিত নারী আসন আছে, এখানে নারী সাংসদ ব্যতীত আর কেউ বসতে পারবে না। আইন অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
সংসদের আসনের সংখ্যানুপাতে নির্ধারিত এই মহিলা আসনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলো তাদের নির্ধারিত আসনের জন্য একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনের মতো সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন পড়লেও ভোটার ও আসনবণ্টনসহ কমিশনকে এই নির্বাচনের নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এ বিষয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা শপথ গ্রহণ করেছেন তাদের তথ্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। আর নির্বাচিতদের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দল বা জোটগুলো বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের জোটের অবস্থান নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।
এদিকে গেজেট হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশন সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের রাজনৈতিক দল বা জোটওয়ারী সদস্যদের পৃথক পৃথক তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকা প্রস্তুতের পরের কার্যদিবসে সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনে প্রকাশ্য কোনও স্থানে টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে সংসদ সচিবালয়কে সেই তালিকার প্রত্যায়িত কপি পাঠিয়ে তা টাঙানোর জন্য বলবে। নির্বাচনের আগে সেই তালিকার আর কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনও করণিক ভুল হলে নির্বাচন কমিশন তা সংশোধন করতে পারবে। আসনবণ্টন বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের জন্য কোনও নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকা নেই। তারা কেবল দলীয় বা জোটের সদস্য হিসেবে পরিচিত হবে। এক্ষেত্রে দল বা জোটের প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে মহিলা আসন বণ্টিত হবে।