স্মৃতির অক্ষরে অম্লান

আজাদ মনসুর ডেস্ক এডিটর, কক্সবাজার
স্মৃতির অক্ষরে অম্লান
কক্সবাজারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে হারিয়ে শূন্যতা এখনো বিরাজমান।
আমরা সকলে জানি, ভাষা-আন্দোলনের সময় যখন তিনি স্কুল ছাত্র, তখন থেকেই তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ এক মানুষ। আমৃত্যু তাঁর জীবনসাধনা, রাজনীতি ও সাংবাদিকতার চর্চা ও দেশ, মানুষের সংকটকালে ভূমিকা রেখেছে।
কক্সবাজারবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছে একটি উদার, সহিষ্ণু, বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সঞ্জীবিত ও আলোড়িত করতে। তাঁর বহুমুখি কর্ম এদেশের রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিকে যে-শক্তি জুগিয়েছে তা হয়ে উঠেছে অনুকরণীয়।
সমাজে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সঞ্চার, গণতন্ত্র ও একটি শোষণমুক্ত সমাজ নির্মাণের জন্য তাঁর অবিচলিত উদ্যোগ ও দৃঢ় কর্ম আমাদেরকে সতত প্রাণিত করছে।

 

ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু হয়েছে তাঁর কর্ম। মুক্তিযুদ্ধ, এদেশের সমস্ত গনতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রাম, সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা, স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা সহ নানা কর্ম নানাভাবে, নানাদিকে প্রসারিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি কোনো দিনও সংকটমুক্ত থাকেনি; কতভাবে যে বিপর্যস্ত হয়েছে। এই বিপর্যয়কালে সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে দেখি প্রতিবাদী ভূমিকায়।
তাঁর অতিবাহিত সময়টি ছিল বহু সমস্যায় জীর্ণ ও কণ্টকিত। যে-কোনো সৃজনশীল সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ মানুষকে এ-সময়ে নিজের সঙ্গে, কখনো সমাজ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের অবস্থান কোথায় তা বুঝে নিতে হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশ, সমাজ ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে, রাষ্ট্রের অঙ্গীকার ও মূলনীতিকে উচ্ছেদ করার প্রয়াস হয়েছিল। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল মননজীবী নাগরিকদের কষ্ট ও হৃদয়ের যন্ত্রণা বড় বেশি পীড়িত করেছিল দৈনন্দিন জীবনকে।
সেই যে এক হৃদয়ক্ষত ও অভিজ্ঞতা, তা নিয়ে সমগ্র জীবন ভেবেছেন তাঁরা।
আজ থেকে ৩৩ বছর আগে এই জনপদের অন্ধকারকে আলোকিত করার ব্রত গ্রহন করেছিলেন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
আজকের অনলাইন মিডিয়া, ফেসবুক সাংবাদিকতার যুগের মতো সহজ ছিলো না সময়টা। শত প্রতিকূলতায় ভরা অনেকটুকু কন্টাকীর্ণ পথ চলতে হয়েছে।

সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং বস্তুুনিষ্ট সংবাদপত্র এই জনপদের মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার।
সমাজে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনাকে মাঠ থেকে তুলে এনে সত্য সংবাদ পরিবেশনের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। মানুষের নির্ভরতা ও আস্থার অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে৷
যে সংবাদপত্রটি সমুদ্র জনপদের গণমানুষের সুখ, দুঃখ, সংকট, সম্ভাবনার কথা অনুবাদ করবে। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছিলো শেষতক। আর এই জনপদের মাটি ও মানুষের কথা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে, নিরপেক্ষ, বস্তুুনিষ্ট সংবাদপত্র হিসেবে দৈনিক কক্সবাজার এই মাটি ও মানুষকে দিয়েছে অনেক।
তাঁর স্মৃতিকথা কখনোই তাঁর আত্মস্মৃতি নয়, বরং তাঁর সময়ের সমাজদর্পণ।
প্রয়ান বার্ষিকীতে  দরিয়ানগরের ভুমিপুত্র, দৈনিক কক্সবাজার সম্পাদক মোহাম্মদ  নুরুল ইসলামের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।

ডেইলি এইনগরে ডট কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্মৃতির অক্ষরে অম্লান

স্মৃতির অক্ষরে অম্লান
কক্সবাজারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে হারিয়ে শূন্যতা এখনো বিরাজমান।
আমরা সকলে জানি, ভাষা-আন্দোলনের সময় যখন তিনি স্কুল ছাত্র, তখন থেকেই তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ এক মানুষ। আমৃত্যু তাঁর জীবনসাধনা, রাজনীতি ও সাংবাদিকতার চর্চা ও দেশ, মানুষের সংকটকালে ভূমিকা রেখেছে।
কক্সবাজারবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছে একটি উদার, সহিষ্ণু, বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সঞ্জীবিত ও আলোড়িত করতে। তাঁর বহুমুখি কর্ম এদেশের রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিকে যে-শক্তি জুগিয়েছে তা হয়ে উঠেছে অনুকরণীয়।
সমাজে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সঞ্চার, গণতন্ত্র ও একটি শোষণমুক্ত সমাজ নির্মাণের জন্য তাঁর অবিচলিত উদ্যোগ ও দৃঢ় কর্ম আমাদেরকে সতত প্রাণিত করছে।

 

ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু হয়েছে তাঁর কর্ম। মুক্তিযুদ্ধ, এদেশের সমস্ত গনতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রাম, সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা, স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা সহ নানা কর্ম নানাভাবে, নানাদিকে প্রসারিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি কোনো দিনও সংকটমুক্ত থাকেনি; কতভাবে যে বিপর্যস্ত হয়েছে। এই বিপর্যয়কালে সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে দেখি প্রতিবাদী ভূমিকায়।
তাঁর অতিবাহিত সময়টি ছিল বহু সমস্যায় জীর্ণ ও কণ্টকিত। যে-কোনো সৃজনশীল সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ মানুষকে এ-সময়ে নিজের সঙ্গে, কখনো সমাজ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের অবস্থান কোথায় তা বুঝে নিতে হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশ, সমাজ ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে, রাষ্ট্রের অঙ্গীকার ও মূলনীতিকে উচ্ছেদ করার প্রয়াস হয়েছিল। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল মননজীবী নাগরিকদের কষ্ট ও হৃদয়ের যন্ত্রণা বড় বেশি পীড়িত করেছিল দৈনন্দিন জীবনকে।
সেই যে এক হৃদয়ক্ষত ও অভিজ্ঞতা, তা নিয়ে সমগ্র জীবন ভেবেছেন তাঁরা।
আজ থেকে ৩৩ বছর আগে এই জনপদের অন্ধকারকে আলোকিত করার ব্রত গ্রহন করেছিলেন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
আজকের অনলাইন মিডিয়া, ফেসবুক সাংবাদিকতার যুগের মতো সহজ ছিলো না সময়টা। শত প্রতিকূলতায় ভরা অনেকটুকু কন্টাকীর্ণ পথ চলতে হয়েছে।

সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং বস্তুুনিষ্ট সংবাদপত্র এই জনপদের মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার।
সমাজে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনাকে মাঠ থেকে তুলে এনে সত্য সংবাদ পরিবেশনের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। মানুষের নির্ভরতা ও আস্থার অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে৷
যে সংবাদপত্রটি সমুদ্র জনপদের গণমানুষের সুখ, দুঃখ, সংকট, সম্ভাবনার কথা অনুবাদ করবে। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছিলো শেষতক। আর এই জনপদের মাটি ও মানুষের কথা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে, নিরপেক্ষ, বস্তুুনিষ্ট সংবাদপত্র হিসেবে দৈনিক কক্সবাজার এই মাটি ও মানুষকে দিয়েছে অনেক।
তাঁর স্মৃতিকথা কখনোই তাঁর আত্মস্মৃতি নয়, বরং তাঁর সময়ের সমাজদর্পণ।
প্রয়ান বার্ষিকীতে  দরিয়ানগরের ভুমিপুত্র, দৈনিক কক্সবাজার সম্পাদক মোহাম্মদ  নুরুল ইসলামের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।

ডেইলি এইনগরে ডট কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download